
পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে এসেছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। চার বছর পর বাংলাদেশ সফরে এলো অজিরা। আগামী ৩ আগস্ট থেকে শুরু হবে এই সিরিজ।
তবে ওয়ার্নার, ফিঞ্চ, ম্যাক্সওয়েলের মতো প্রথম সারির বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারই আসেননি এই সফরে। বাংলাদেশ দলের অবস্থাও অনেকটা একই রকম। দলে নেই তামিম, লিটন ও মুশফিক। গোড়ালির চোট বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় অনুশীলনে ফুটবল খেলায় দেখা যায়নি পেসার মোস্তাফিজকে।
তামিমের দল থেকে ছিটকে যাওয়ার জন্য চোট দায়ী হলেও মুশফিক-লিটনের না খেলার বিষয়টি ভিন্ন। সিরিজ থেকে ছিটকে যাওয়ার কারণ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) আপত্তি।
বাংলাদেশ দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো এতে প্রচণ্ড হতাশা প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে মুশফিকের বেলায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এমন আচরণের কোনো যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না ডমিঙ্গো।
তিনি বলেন, ‘মুশফিককে জৈব সুরক্ষা বলয়ে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার এমন অদ্ভুত সিদ্ধান্তের যুক্তি আমি খুঁজে পাইনি। ১০ দিন কোয়ারেন্টিন যথেষ্ট ছিল। এটা নিয়ে অনেক হতাশ আমি।’
জিম্বাবুয়ে সফরে চলাকালীন মুশফিক তার বাবা-মার করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ না খেলে দেশে চলে আসেন ।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) শর্ত মোতাবেক, তাদের দল ঢাকায় পা রাখার অন্তত ১০ দিন আগে সিরিজ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জৈব সুরক্ষা বলয়ে ঢুকতে হবে। কিন্ত ওই পরিস্থিতিতে মুশফিক তা পারেননি । তবে তার বাবা-মা অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠলে নির্ধারিত সময়ের ২-৩ দিন পর কোয়ারেন্টিন শুরু করতে প্রস্তুত ছিলেন তিনি।
তবে অস্ট্রেলিয় হেলথ প্রটোকল টিম মুশফিককে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার অনুমোদন দেয়নি। ফলে সিরিজ থেকে বাদ পড়েন মুশফিক।
আর এই বিষয়টি মোটেই মেনে নিতে পারছেন না হেড কোচ ডমিঙ্গো। তিনি বলেন, মুশফিক যখন থেকে কোয়ারেন্টিনে প্রবেশের প্রস্তুতি নিয়েছিল, সেই সময়টা যথাযথ ছিল। তখন জৈব সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশ করলেও ১০ দিন কোয়ারেন্টিন করতে পারতেন মুশফিক।